ওয়েব ২.০ ডিজাইন কি?

আমাদের মধ্যে অনেকেই জানি আবার এখনো অনেকেই জানি না ওয়েব ২.০ ডিজাইন সম্পর্কে, আসলে বিষয়টি কি। ওয়েব ২.০ ডিজাইন বলতে সাধারন কোন ডিজাইনকে বুঝায় না। আসলে ওয়েব ২.০ ডিজাইন এতটাই প্রস্স্থ একটি বিষয় যে, কার্যত একে গুছিয়ে বা এক কথা বলে শেষ করা যাবে না। এটি কোন ডিজাইনের প্রকৃত ধরনকে নির্দেশ করে।

ওয়েব ২.০ ডিজাইন বলতে আমরা কি কি বিষয়ের প্রতি লক্ষ দিবো, তার জন্য একটু বিস্তারিত আলোচনায় আসা যাক:

১. বড় লিখা: ওয়েব এবং মিডিয়াতে লিখার স্কীন রেজুলেশন হবে প্রশস্থ।

২. সাধারন বৈসাদৃশ্য: ওয়েব ২.০ ডিজাইন হবে সাধারন বৈশিষ্ট্য মানের এবং যেন কোন কিছুর অভাব বোধ প্রকাশ করবে। এক্ষেত্রে লক্ষনীয় যে, বেশির ভাগ ওয়ের ২.০ মানের ডিজাইনে সাদা রং এর ব্যবহার যাওয়া যাবে।

৩. শক্তিশালী নেভিগেশন: শক্তিশালী নেভিগেশন এবং পাঠক মানোযোগ আকর্ষন তৈরী করার মানষে ভুলেও অন্যের ডিজাইন কপি-পেষ্ট করবেন না। এতে আপনার সাইট বা ডিজাইনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া পরবে। তার চেয়ে বরং সাদামাটা নেভিগেশন ব্যবহার করলেই ভাল দেখাবে। মনে করি, একটি সাইটের নেভিগেশনে ৩টি ট্যাব আছে, প্রত্যেকটি সাইটের গুরুপ্তপূর্ণ বিভাগ ধারন করছে, যেখানে আপননি ক্লিক করলেই বিভাদের সব পোষ্ট বা ডিজাইন দেখতে পারবেন। আবার দেখুন, একটি সাইটের সাইডবারে ২০টা বিভিন্ন বিভাগের লিংক আছে, নেভিগেশন বাদ-এই। এখন সিদ্ধান্ত নিন, কোনটি আপনার জন্য উত্তম এবং সহজে ব্যবহাব উপযোগী? যদি আপনি আপনার সাইটের ডিজাইন-কে এললোমেলো লিংক দেখানো থেকে নেভিগেশন দিয়েই দৃষ্টিগোচর করতে পারেন, তাহলে এটিই হবে সাথর্ক ধারনা/কর্মকান্ড।

৪. আকর্ষনীয় লোগো: “Branding Is Everything” ইন্টার জগতে এই কথাটি ১০০% সত্য। 😀 আপনার সাইটটি যদি প্রথম দেখাতেই ভিজিটরকে আকর্ষন করাতে না পারে, তবে দ্বিতীয়বার সে আর আপনার সাইট আসবে না। এক্ষেত্রে শুধু ডিজাইন না আপনার সাইটের কন্টেন্টও বিশাল ভুমিকা রাখে। তাই, একটি ইউনিক ব্রান্ড নাম, লোগো সবচেয়ে গুরুপ্তপূর্ণ। উদাহরন স্বরূপ ম্যসএ্যাবল। লক্ষ করুন তাদের লোগো এবং নেভিগেশন। 😉

৫. আকর্ষনীয় হোমপেজ: আমরা জানি Apple সবসময় তার ক্রেতা বা ভিজিটরদের মনোযোগ আকর্ষনের জন্য তাদের হোমপেজে আর্কষনীয় সব ডিজাইন-এর প্রাচুর্য রাখে। যা কিনা ওয়েব ২.০ ডিজাইন সাইটের বড় উদাহরন। 🙂

৬. গ্রাডিয়েন্ট, গ্লস, ফ্লাট কালার: কিছু কিছু ওয়েব ২.০ সাইট ফ্লাট কালার ব্যবহার করে। আবার অনেকেই অতিরিক্ত পরিমানে গ্রাডিয়েন্ট ও গ্লস কালার ব্যবহার করে। এই কালার গুলোর অতিরিক্ত ব্যবহার যদিও সাইটের আউটলুককে কলুষিত করে। তবে যদি, পরিমানমত ব্যবহারের ফলে দেখতে ভালও লাগে।

৭. আইকন: ওয়েব ২.০ এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আইকন এর ব্যবহার। প্রতিটি ডিজাইন এর সাথে সাথে মিল রেখে আইকনের ব্যবহার করার অধ্যায়টা ওয়েব ২.০ থেকেই শুরু হয়েছে।

এতটুকুই কিন্তু শেষ নয় ওয়েব ২.০ সম্পর্কে। আমি শুধু কিছু মাত্র ধারনা দিলাম। এটি সম্পর্কে বিস্তরিত জানতে উইকিপিডিয়া পাতাতে ভ্রমন করুন। আর হ্যা কেমন লাগলো মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না। ভাল লাগলে অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করবেন।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

2 thoughts on “ওয়েব ২.০ ডিজাইন কি?

আরিফুল ইসলাম (শাওন) এর জন্য একটি উত্তর রাখুন জবাব বাতিল